Sunday, August 27, 2023

ঘি এর উপকারিতা

 



ঘি বা “ঘৃত”(আয়ুর্বেদীয় উচ্চারণ)

বাঙ্গালী হয়ে গরমভাতে ঘি খায়নি ,তা বিশ্বাস করা যায় না। আমাদের মা – ঠাকুমাদের বলতে শুনবেন যে ঘি খেলে ত্বকের উজ্বলতা বৃদ্ধি পায় । কারণ আগেকার দিনে আমাদের মা – ঠাকুমাদের প্রধান রূপচর্চার উপকরণই ছিল ঘি । আসুন আজ বৈজ্ঞানিক তথ্য নাড়াচাড়া করে জেনে নেওয়া যাক মা -ঠাকুমাদের বলা এই কথাগুলো কতটা সঠিক।

ভালো মশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার – ঘি এর মধ্যে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং ত্বকের পক্ষে একটি খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার হল ঘি । শুষ্ক ত্বক, খসখসে ত্বক ইত্যাদি সমস্যায় ভালোভাবে ঘিয়ের মাসাজে ত্বক হয়ে ওঠে মোলায়েম ও সুন্দর । বার্ধক্য জনিত দাগ, মেচেদার ছোপ, কালচে ভাব ইত্যাদি দূর করতেও ঘিয়ের মাসাজ খুবই প্রয়োজন।

চুলের সমস্যায় ঘি এর ব্যবহার – শুষ্ক ,উস্কো -খুস্কো চুল এর ক্ষেত্রে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে সামান্য ঘি মিশিয়ে তা চুলে লাগালে চুল সিল্কি ও মোলায়েম হয় এবং সাদা চুলের সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।

শীতে শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যা রোধে – শীতে শুষ্ক ঠোঁট সবারই সমস্যা। ঠোঁট ফেটে যাওয়া, ঠোঁটের চামড়া উঠে গিয়ে রক্ত বার হওয়া ইত্যাদি রোধে ঠোঁটের ওপর ঘি হালকা ভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। ঘিয়ের তেলতেলে ভাব ঠোঁটের চামড়ার ওপর একটি স্তর তৈরি করে এবং শীতকালের আর্দ্রতা থেকে ঠোঁটকে সুরক্ষা প্রদান করে।

পা ফাটার সমস্যা রোধে – অনেকের শুধু শীতকালে পা ফাটে, কারও কারও আবার সারা বছরই পা ফাটার সমস্যা দেখতে পাওয়া যায় । এক্ষেত্রে রাতে শোবার সময় ঘিয়ের নিয়মিত মাসাজে পা ফাটার সমস্যা প্রতিরোধ করা যায় ।

No comments:

Post a Comment