প্রতিদিন একটি বড় সময় রান্নাঘরে ব্যয় করেন গৃহিণীরা। কেবল নারী বললে ভুল হবে, প্রয়োজনে অনেক পুরুষও রান্না করেন। তেল, মশলা, উপাদান সবকিছু ঠিকঠাক দেওয়ার পরও অনেকের রান্না করা খাবার মুখরোচক হয়। কিংবা রান্না ঠিক হলেও তা লোভনীয় হয় না। রান্নার কিছু ছোটোখাটো কিছু টিপস রয়েছে। আমাদের মা কিংবা নানীরা এসব খুঁটিনাটি বিষয় খেয়াল রেখেই নিজেদের পাকা রাঁধুনিতে পরিণত করেছেন। এমন কিছু টিপস জানুন।
মাংসে লবণ মাঝামাঝি সময়ে
মাংস রান্নার শুরুতেই লবণ না দিয়ে রান্নার মাঝামাঝি সময়ে লবণ দিন। এতে হবে কি মাংস থেকে আগেই পানি বের হবে না। ফলে মশলা ভালোভাবে ভেতরে ঢুকবে। অন্যদিকে লবণের মাত্রাও ঠিক থাকবে।
মাইক্রো ওভেনে ইলিশ
সময় বাঁচাতে অনেকে মাইক্রো ওভেনে রান্না করেন। এতে ইলিশ রাঁধতে চাইলে ঘণ্টা দুয়েক আগে লবণ হলুদ মাখিয়ে রাখুন। মাইক্রো ওভেনে সরষে ইলিশ রাঁধতে চাইলে সরষেও মাখিয়ে রাখুন। তারপর ওভেনে দিন।
খেজুরের গুড়ের পায়েসে দুধ দেবেন কখন?
খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গেলে অনেক সময় দুধ ফেটে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে পায়েসের দুধ ঘন হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করুন। তারপর গুড় মেশান। এরপর ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দুধ ফাটবে না।
স্যান্ডউইচ থাকবে তুলতুলে
স্যান্ডউইচ বানিয়ে রেখে দিলে সেগুলো ড্রাই হয়ে যায়। এক্ষেত্রে স্যান্ডউইচ বানানোর পর ব্রাশ দিয়ে সামান্য দুধ পাউরুটির ওপর মেখে নিন। অনেকক্ষণ তুলতুলে নরম থাকবে।
মচমচে মাছ
যেকোনো মাছ ধুয়ে তেলে ভাজার আগে একটু চিনি মাখিয়ে রাখুন। এরপর ভাজুন। এতে মাছ মচমচে হয়।
মাছ কেন ভেঙে যায়?
অনেক মাছ ভাজতে গেলে প্রায়ই ভেঙে যায়। মাছের টুকরো ভাল করে ধুয়ে মিনিট পাঁচেক তেঁতুল পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। তারপর ভাজুন। আর ভাঙবে না।
No comments:
Post a Comment