কোলেস্টেরল এড়িয়ে চলার উপায়
- রান্নার কাজে ঘি, বাটার অয়েল ব্যবহার না করে সয়াবিন কিংবা পামঅয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।
- মিষ্টান্ন তৈরির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে স্কিমড বা ননীতোলা দুধ।
- একইভাবে ডিমের তৈরি যেকোনো খাবার থেকে কুসুমকে বাদ দেয়া যেতে পারে।
তা ছাড়া প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। খাবারের সাথে সালাদ রাখতে হবে। সালাদ ও শাকসবজি খাবারের চর্বিকে শরীরের শোষিত হতে বাধা দেয়। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতিদিন ১০ গ্রামের মতো দ্রবণীয় আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ ৫-১০ শতাংশ কমতে পারে। কোলেস্টেরল থেকে রক্ষা পেতে চর্বিযুক্ত খাবার পরিহারের পাশাপাশি ব্যায়ামও একই সাথে চালাতে হবে। কারণ চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চললে খারাপ জাতের কোলেস্টেরল এলডিএলের মাত্রা কমে আর অন্য দিকে ব্যায়াম করলে ভালো জাতের কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা বাড়ে। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ১ মি.গ্রা এলডিএলে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়, একই পরিমাণ এইচডিএলে তার চেয়ে তিনগুণ উপকার হয়। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতিদিন অন্তত দুই মাইল হাঁটা উচিত। সুতরাং সুস্থ থাকার জন্য লাল গোশত গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং সেই সাথে শাকসবজি গ্রহণেও হতে হবে সচেষ্ট।
খাওয়ার জন্য না বেঁচে বাঁচার জন্য খেতে হবে। কিন্তু কোরবানি তো আর ভোজোৎসব নয়, সুতরাং ভোজের আনন্দে না মেতে ত্যাগের মহিমায় নিজেকে উদ্ভাসিত করলেই রেহাই পাওয়া যাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে।
No comments:
Post a Comment