Saturday, September 9, 2023

ফটোশুটের জন্য পারফেক্ট মেকআপ লুক ক্রিয়েট করুন নিজেই!



 আমরা প্রত্যেকেই চাই যেন ছবি তোলার সময় আমাদেরকে দেখতে ফ্ললেস লাগে! প্রতিটি ফটোশুটের আগে আউটফিট, জুয়েলারি ও মেকআপ কেমন হবে তা নিয়ে আমাদের জল্পনা কল্পনার শেষ থাকে না। বিশেষ করে মেকআপ নিয়ে আমাদের থাকে কত কত কনফিউশন! কয়েকটি সিম্পল স্টেপস ফলো করলে ঘরে বসেই ফটোশুটের জন্য পারফেক্ট লুক ক্রিয়েট করা পসিবল। আজকের ফিচারে আপনাদের জানাবো কীভাবে মেকআপ করলে ছবিতে ফেইসের বেস্ট ফিচারগুলো হাইলাইট করতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

প্ল্যান করে নিন আগেই

যেকোনো ফটোশুটের আগেই প্ল্যান করে নিন মেকআপ লুক কেমন হবে, আউটফিট কী ধরনের হবে, হেয়ার স্টাইল কেমন হবে। শুট কি ডে টাইমে হবে নাকি কোনো স্টুডিও সেটআপে, সেটাও জানতে হবে। অনেকেই মনে করেন, ফটোশুটের জন্য যত হেভি মেকআপ করা হবে, ছবিতে দেখতে ততই ফ্ললেস লাগবে। সত্যি বলতে ব্রাইডাল ফটোশুটের ক্ষেত্রে হেভি মেকআপ অ্যাপ্রোপ্রিয়েট হলেও যদি অন্য কোনো কারণে ফটোশুট করতে হয়, সেক্ষেত্রে ন্যাচারাল মেকআপই বেশি মানানসই। কারণ ন্যাচারাল মেকআপ যেকোনো আউটফিট ও জুয়েলারির সাথেই মানিয়ে যায়। তাছাড়া অনেক সময় হেভি মেকআপ করা হলে তা কেকি হয়ে যায়, যা দেখতে খুবই আনন্যাচারাল লাগে। ছবিতেও বেশ ভালোভাবে তা বোঝা যায়।

দিনের বেলায় যদি কোনো ফটোশুট থাকে, সেক্ষেত্রে ট্রাই করবেন মেকআপ লুক যেন একদম ন্যাচারাল থাকে। এবার আপনাদের একটি ছোট্ট টিপস দেই। সেটা হলো, ন্যাচারাল লাইটে মেকআপ করার ট্রাই করুন৷ এতে মেকআপ প্রোডাক্টস অ্যাপ্লাইয়ের সময় হেভি হ্যান্ডেড হয়ে যাওয়ার চান্স থাকবে না। এর পাশাপাশি ফলো করতে পারেন নিচের এই মেকআপ টিপসগুলো।

ফটোশুটের জন্য পারফেক্ট মেকআপ লুক

১) পোরস মিনিমাইজিং প্রাইমার ইউজ করুন

মেকআপ করার সময় প্রাইমার তো সবাই ইউজ করেন। মার্কেটে বিভিন্ন রকম প্রাইমার অ্যাভেইলেবল থাকলেও ছবিতে নিজের স্কিন টেক্সচার স্মুথ দেখাতে পোরস মিনিমাইজিং প্রাইমারের বিকল্প নেই। তাই নিজের পছন্দের যেকোনো ব্র্যান্ডের পোরস মিনিমাইজিং প্রাইমার বেছে নিন।


২) কালার কারেক্টিং কনসিলার ইউজ করুন

কালার কারেক্টিং কনসিলার আমাদের স্কিনের হাইপারপিগমেন্টেশন ও স্পট একদম ম্যাজিকের মতো হাইড করে দেয়, যা শুধুমাত্র ফাউন্ডেশন পুরোপুরি কভার করতে পারে না। অনেকেই রয়েছেন যারা ফটোশুটের জন্য মেকআপ করার সময় কালার কারেকশনের এই ইম্পরট্যান্ট স্টেপটি স্কিপ করেন। এতে দেখা যায়, ছবিতে চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল অথবা ফেইসের একনে স্পট একদম ভিজিবল হয়ে ওঠে! একারণে অবশ্যই ফেইসের যেকোনো ডিসকালারেশন হাইড করতে অরেঞ্জ এবং একনে স্পট কভার করতে গ্রিন কালার কারেক্টিং কনসিলার ইউজ করুন।


৩) ম্যাট ফিনিশের ফাউন্ডেশন বেছে নিন

ডিউয়ি ফর্মুলার ফাউন্ডেশন অনেকেরই পছন্দ৷ তবে ফটোশুটের ক্ষেত্রে ডিউয়ি বা গ্লোয়ি ফিনিশ দেয় এমন ফাউন্ডেশনগুলো অ্যাভোয়েড করাই বেটার। কারণ অনেক সময় এই ফাউন্ডেশন ইউজ করার কারণে ফেইসে এক্সট্রা শাইন বা গ্লো দেখা যায়, যা ছবিতে ভালো না-ও দেখাতে পারে। তাই ফটোশুট থাকলে ম্যাট কভারেজের ফাউন্ডেশন ইউজ করুন, বিশেষ করে ডে টাইমে। আর ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড করার ক্ষেত্রে ড্যাম্প বিউটি স্পঞ্জ ইউজ করুন, এতে ইজিলি ফাউন্ডেশন স্কিনে ব্লেন্ড হয়ে যাবে। কনট্যুরিং করার সময় খেয়াল রাখবেন যেন হার্শ লাইন না থাকে। যত পারফেক্টলি আপনি ব্লেন্ড করবেন, লুক ততটাই পারফেক্ট হবে।

৪) ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ইউজ করুন

অনেকেই ফাউন্ডেশন বা কনসিলার সেট করার জন্য নিজেদের স্কিন শেইডের কমপ্যাক্ট পাউডার ইউজ করেন। তবে যদি ফটোশুট থাকে, সেক্ষেত্রে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ইউজ করাই বেটার অপশন৷ কারণ এই পাউডারের টেক্সচার খুবই লাইট ওয়েট হওয়ায় আপনার ফেইস কেকি হবে না, আবার সেই সাথে স্কিনের অয়েল কন্ট্রোলও হবে।

৫) ডে টাইমে নিউট্রাল টোনের আইশ্যাডো অ্যাপ্লাই করুন

চোখ সাজাতে কম বেশি সবাই ভালোবাসেন। আইব্রো বেশি ডার্ক করলে ওভারঅল লুক আনন্যাচারাল দেখায়, তাই এদিকে লক্ষ্য রাখুন। আপনাদের সবার কালেকশনে নিশ্চয়ই নিউট্রাল কালারের আইশ্যাডো রয়েছে। যদি ডে টাইমে কোনো শুট হয়, তাহলে শিমার বা গ্লিটার শ্যাডো ইউজ না করে নিউট্রাল টোনের ম্যাট আইশ্যাডো অ্যাপ্লাই করুন। আউটফিটের উপর ডিপেন্ড করবে আপনার আইলুক কেমন হবে। যদি শাড়ি পরে ফটোশুট হয়, তাহলে কালারফুল আইলুক ক্রিয়েট করতে পারেন। চোখের লোয়ার ল্যাশ লাইনে ন্যুড কাজল ব্যবহার করতে পারেন, এতে আপনার আই শেইপ আরো বড় ও ডিফাইনড দেখাবে।

৬) আইলাইনার ও মাশকারা অ্যাপ্লিকেশনে কেয়ারফুল থাকুন

আইলাইনার ও মাশকারা ছাড়া আমাদের আই মেকআপ একদমই ইনকমপ্লিট থেকে যায়। যদি আপনার আই শেইপ ছোট বা হুডেড হয়, তাহলে মোটা করে আইলাইনার অ্যাপ্লাই না করা বেটার। যদি ল্যাশলাইন ঘেঁষে একদম চিকন করে আইলাইনার অ্যাপ্লাই করেন বা উইংড লাইনার ড্র করেন, তাহলে ছবিতে দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে।

রাতের রূপচর্চায় ৩টি অত্যাবশ্যকীয় কাজ


বিরূপ আবহাওয়া, অযত্ন-অবহেলার কারণে অনেকের নিখুঁত স্নিগ্ধ ত্বক হারিয়ে যায়। নিখুঁত সুন্দর ত্বক একধরণের স্বপ্নের মতোই মনে হয়। এ সমস্যাগুলো থেকে সহজেই ত্বকের যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
স্কিন এক্সপার্ট হুমায়রা জানান, ‘প্রতিরাতে যদি সামান্য একটু যত্ন নেয়া হয় তাহলে খুব সহজেই ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব। একটু সচেতনতাই ব্রণ, ত্বকের রুক্ষতা এবং অন্যান্য নানা সমস্যা দূরে রাখতে পারে।

তিনটি কাজের মাধ্যমে সম্ভব এই সমস্যাগুলি কিছুটা কমিয়ে নেয়া –

প্রথমত, রাতে বাসায় ফিরে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার করে নেবেন। কেননা ত্বকের নানা সমস্যার মূল কারণ হচ্ছে অপরিষ্কার ত্বক, তাই যত জলদি সম্ভব বাসায় ফিরেই ত্বক ভালমত পরিষ্কার করে নেয়া উচিৎ। ত্বক যত অপরিষ্কার থাকবে ততোই সমস্যা বাড়তে থাকবে। তাই প্রতি রাতে বাসায় ফিরে অবশ্যই ভালো করে ত্বক পরিষ্কার করে নেবেন।


ভাল ও আপনার ত্বকের সাথে মানানসই কোন ফেসওয়াস দিয়ে ত্বক ধুয়ে নিয়ে ত্বক স্ক্রাব করে উপরের ময়লা দূর করে নিন। এরপর একটি সাধারণ বা প্রাকৃতিক কোনো টোনার দিয়ে ত্বক আরও ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। কাঁচা দুধ খুব ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে। দুধ লাগিয়ে ৫ মিনিট রেখে ত্বক ধুয়ে ফেলুন।
দ্বিতীয়ত, ফেস প্যাক মানে ভারী কোনো ফেস প্যাক নয়। প্রতিদিন রাতে ব্যবহারের জন্য দুধ মধুর হালকা ফেস প্যাকই যথেষ্ট। এতে ত্বকের কোমলতা ফিরে আসে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতাও বজায় থাকে। যাদের ত্বক রুক্ষ তারা দুধ ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
আবার যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা লেবুর রস ও মধু ব্যবহার করতে পারেন আর যারা একটু উজ্জ্বলতা চান তারা হলুদ গুঁড়ো ও দুধ ব্যবহার করে প্যাক তৈরি করতে পারেন। মাত্র ২০ মিনিট ব্যবহার করেই ধুয়ে ফেললে ত্বকের যত্ন নেয়া শেষ।

তৃতীয়ত, সঠিক খাবার রাতের খাবারের কারণে অনেক সময় ত্বকের সমস্যা দেখা যায় বলে জানান হুমায়রা। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘রাতের ভারী খাবার হজম না হওয়ার কারণে অনেকেরই ব্রণ সমস্যা দেখা দেয়’। তাই রাতে হালকা খাবার খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। সেই সাথে পান করা উচিত অন্তত ২ গ্লাস পানি।

ওজন কমাতে কি শর্করা খাবার বাদ দেওয়া উচিত ?


 ডায়েটের অর্থ কেবল খাদ্য নিয়ন্ত্রণ নয়, এর অর্থ হচ্ছে, খাদ্যাভ্যাস। একজন মানুষ সারা জীবন কতটা সুস্থ থাকবেন, তার অনেকটাই নির্ভর করে খাদ্যাভ্যাসের ওপর। আমাদের অসংক্রামক ব্যাধিগুলোর প্রায় ৭৫ শতাংশই খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে।

বেশির ভাগ মানুষই মনে করেন, ওজন কমাতে হলে ডায়েট করতে হবে। মোটেই তা নয়। সময়মতো পরিমিত সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়াই হচ্ছে ডায়েট। কেবল ওজন কমানো-বাড়ানো নয়, স্বাস্থ্যকর জীবনের অংশ হচ্ছে ডায়েট।

কোনো ব্যক্তির খাদ্যতালিকা তাঁর বয়স, ওজন, উচ্চতা, লিঙ্গ, পেশা, রক্তের কোলেস্টেরল লেভেল, কিডনির কার্যকারিতা, ফ্যাটসহ নানা বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন ১৫ বছরের এক শিশু আর ৫০ বছর বয়সী একজনের ডায়েট চার্ট নিশ্চয় এক হবে না। আবার একজন সুস্থ মানুষ যে খাবার খাবেন, একজন কিডনি বা হার্টের রোগী সেগুলো খাবেন না।


শর্করা কি বাদ দেওয়া উচিত

শর্করাকে বলা হয় শক্তি সরবরাহকারী খাদ্য উপাদান। আর আমিষ হচ্ছে শরীর গঠনকারী খাদ্য উপাদান। আমাদের সারা দিনে প্রয়োজনীয় শক্তির ৫০ থেকে ৬০ ভাগ আসে শর্করা থেকে। ফ্যাট থেকেও শক্তি পাওয়া যায়, তবে সেটা বেশ জটিল প্রক্রিয়া।

ফলে শরীরের বিভিন্ন কোষীয় চক্রে শক্তির উৎস হিসেবে শর্করাই বেশি ব্যবহার করে শরীর। মস্তিষ্কের জ্বালানি হিসেবেও শর্করা ব্যবহৃত হয়। তাই খাবার থেকে শর্করা বাদ দেওয়া যাবে না। ওজন কমাতে চাইলে শর্করার পরিমাণ ১০ থেকে ২০ শতাংশ কমানো যায়। সাধারণ শর্করার পরিবর্তে জটিল শর্করা খান। জটিল শর্করা ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে। লাল আটা, লাল চাল, ওটস, জবের চিড়া, শাক—এগুলো জটিল শর্করার ভালো উৎস। ওজন কমাতে হলে সাদা আটা, ময়দা, সাদা চাল, চিনি, কর্নফ্লেক্স, পাউরুটি, ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার, অতিরিক্ত তেল বা তৈলাক্ত খাবার বর্জন করতে হবে। 

ডায়েটের নামে না খেয়ে থাকা যাবে না। চাহিদা অনুযায়ী খাবার না খেলে শরীর কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। কম খাবার খেলে ভিটামিন, মিনারেলের ঘাটতি তৈরি হতে পারে। তখন শক্তি উৎপাদনের জন্য কোষীয় চক্রগুলো ঠিকভাবে কাজ করবে না। এতে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে।


শর্করাহীন খাবার বা খাদ্য উপাদান বাদ দিলে যা হয়

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, দুর্বলতা, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হওয়া, রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়া, চুল পড়া, চুল পেকে যাওয়া, চর্মরোগের আধিক্য, স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, হাঁটু ও কোমরের হাড়ক্ষয়, রক্তে ও লিভারে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, মাথা ঘোরা, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, হজমশক্তি কমে যাওয়া, গ্যাস্ট্রিকের কারণে আলসার ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

যেকোনো অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ওজন কমালে সেটা স্থায়ী হবে না। আবার স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসে ফিরলে ওজন আগের জায়গায় ফিরবে। ফলে ডায়েট করতে হলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ব্যালান্স ডায়েট করুন।

Thursday, September 7, 2023

ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন



 দাগহীন সুস্থ, সুন্দর ও পরিষ্কার ত্বক কে না চায়। গ্রীষ্ম শেষে বর্ষার এই সময়ে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব অস্বস্তির কারণ হতে পারে। পাশাপাশি আমাদের জীবনযাপনের বিভিন্ন অসতর্কতা ও অন্যান্য কারণেও ত্বকে দাগ দেখা দেয়। রোদে পুড়ে বা অযত্নের কারণেও আমাদের মুখের সঙ্গে হাতে-পায়ের রঙের ভিন্নতা দেখা যায়। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য হারালেই এমনটা ঘটে। ত্বকের দাগ এবং এসব অযাচিত রং পরিবর্তন থেকে মুক্তি পেতে আছে কিছু ঘরোয়া সমাধান। ঘরে থাকা হাতের কাছের বিভিন্ন উপাদান দিয়ে সহজেই ত্বকের এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। লকডাউনের এই ঘরবন্দী সময়ে ত্বকের দাগ দূর করতে এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে সুফল পাওয়া যাবে সহজেই।

হলুদগুঁড়া

ত্বকের দাগ দূর করতে হলুদের বিকল্প নেই। এক চামচ হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে ১ চা–চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এবার এটি হাত-পায়ের আঙুলে এবং দাগ যুক্ত স্থানে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর লেবুর রস দিয়ে ঘষে তুলন। এরপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। হলুদগুঁড়া হাত-পায়ের কালো দাগ দূর তো করবেই, একই সঙ্গে ত্বককে করে তুলবে টানটান।

অ্যালোভেরা জেলি

অনেক কাজের কাজি অ্যালোভেরা। রূপচর্চার অন্যতম সেরা এই প্রাকৃতিক উপাদান আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এবং কালো হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। অ্যালোভেরা বাইরে যেমন কিনতে পাওয়া যায়, তেমনি ঘরেও টবে লাগিয়ে থাকেন অনেকে। একটি অ্যালোভেরার স্টিক নিয়ে এর ওপরের সবুজ অংশ কেটে ভেতরের জেলি কাঁটা চামচের সাহায্যে বের করে নিন। এই জেলি হাত-পা, মুখ এবং প্রয়োজনীয় জায়গাগুলোয় মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা নিয়মিত ব্যবহারে দাগ এবং কালো হয়ে যাওয়া থেকে তো মুক্তি পাবেনই, পাশাপাশি ত্বক হবে মসৃণ ও টানটান।

লেবুর রস


অ্যালোভেরার মতোই ত্বকের দাগ সারাতে কার্যকর এক সহজলভ্য প্রাকৃতিক উপাদান লেবু, তথা লেবুর রস। বেশ কয়েকভাবেই লেবুর রস ব্যবহার করা যায়। কর্মব্যস্ত দিনে বাইরে থেকে এসে হাত-পা-মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। মাঝারি সাইজের একটি লেবু কেটে তা খোসাসহ হাত-পা ও মুখে আলতো করে ঘষে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এ ছাড়া একটি লেবুর সঙ্গে এক চামচ চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে হাত-পায়ের আঙুলের ভাঁজে এবং কালো হয়ে যাওয়া স্থানে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা গরম পানি দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে নিন। এটি হাত-পায়ের জন্য ন্যাচারাল স্ক্র্যাব হিসেবে কাজ করবে। লেবু আর মধুও ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। অর্ধেক লেবুর রসের সঙ্গে এক চা–চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এটা কালো হয়ে থাকা স্থানে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিন। এই তিন ধরনের মিশ্রণের যেকোনো একটি দিয়ে নিয়মিত চর্চা করলে ত্বকের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে সহজে।

ডিম-অলিভ অয়েল ও লেবু


অলিভ অয়েলের সঙ্গে চিনি দাগ দূর করতে যেমন কার্যকর। তেমনি অলিভ অয়েল, ডিম ও লেবুর মিশ্রণও ত্বকের দাগ সারাতে উপকারী। ১টি ডিম, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং পুরো ১টি লেবুর রস একত্রে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি নখ, গলা, হাত ও ঘাড় এবং পিঠের কালো ছোপ ছোপ দাগের স্থানে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। কয়েক দিন এটা ব্যবহারে দেখবেন হাত, ঘাড় ও পিঠের কালো দাগ কমে গেছে


অজ্ঞান হলে লক্ষণসমূহ ও প্রাথমিক চিকিৎসা


 মাথায় প্রয়োজনীয় রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে রক্ত চাপ কমে রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ভয়াবহ দৃশ্য চোখে বা অন্য কোনভাবে ভয় পেয়ে অথবা দুঃসংবাদ শুনে হঠাৎ করে রক্ত চাপ কমে যায়, অসুস্থতাজনিত দুর্বলতার কারণেও এমন হতে পারে। অত্যাধিক ব্যাথা, স্নায়বিক আঘাত, তাপ বা গরম ইত্যাদি কারণেও অজ্ঞান হতে পারে। 

লক্ষণসমূহঃ
*    মুখ মন্ডল ফ্যাকাশে হয়ে যায়;
*    নাড়ি দুর্বল ও মন্থর হতে পারে;
*    শ্বাস-প্রশ্বাস ধীর গতিতে চলতে পারে;

প্রাথমিক চিকিৎসাঃ
*    রোগীকে ছায়াতে ও মুক্ত বাতাসে রাখতে হবে। যাতে পর্যাপ্ত মুক্ত বাতাস রোগীর গায়ে লাগে তার ব্যবস্থা করতে হবে;

*    রোগীকে আরামদায়কভাবে শুঁইয়ে দিতে হবে;
*    রোগীর কাপড়ের সকল বাঁধন ঢিলা করে দিতে হবে; *    রোগীকে ঠান্ডা লাগলে চাদর দিয়ে ঢেকে দিতে হবে; 
*    অত্যাধিক গরমে জ্ঞান হারালে, রোগীকে বাতাস করতে হবে, মাথায় পানি ঢালা যেতে পারে, শরীর ঠান্ডা ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে;
*    কোন অবস্থাতেই অজ্ঞান রোগীর মুখে কোন তরল অর্থাৎ পানীয় জাতীয় কিছু দেয়া যাবে না; 
*    রোগীর পাশে হাঁটু গেঁড়ে বসুন। কপালে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে মাথাটি কাত করে দিন। তার মুখটি হাঁ করে আঙ্গুল দিয়ে মুখের ভিতরে লালা পরিষ্কার করে নিয়ে আসুন;
*    যদি সে শ্বাস নিতে না পারে, তবে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করুন;
*    লক্ষ্য করুন নিঃশ্বাসের সঙ্গে তার বৃক উঠানামা করছে কিনা;
*    যদি রোগী শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে, তবে ১০ মিনিট তার শ্বাস-প্রশ্বাস লক্ষ্য করুন এবং তার হার্টবিট বোঝার চেষ্টা করুন;
*    এরপর তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিকটস্থ ডাক্তারের কাছে অথবা হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করুন; 
*    জ্ঞান আসার পর যখন রোগী সুস্থবোধ করবে তখন তাকে খাবার দিতে হবে ও পানি পান করাতে হবে।

Tuesday, September 5, 2023

মধু-পানি পানের স্বাস্থ্য উপকারিতা

১। ওজন হ্রাস করতে
ওজন কমাতে মধু পানি জাদুর মত কাজ করে।  প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কসুম গরম পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার এটি পান করুন। এর সাথে আপনি চাইলে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি আপনার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।

২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
প্রতিদিন এক গ্লাস মধু পানি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরকে সবল রাখে এবং যেকোন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।

৩। অ্যালার্জি দূর করে
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু পানি পানে দেহের পোলেন অংশগুলো যেখানে অ্যালার্জি রয়েছে সেসকল স্থানে এক ধরণের প্রতিরক্ষা পর্দা সৃষ্টি করে যা অ্যালার্জির যন্ত্রণা দূর করে দেয়।

৪। হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
মধুতে এনজাইম আছে যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। যদি আপনার হজমে সমস্যা থাকে তবে খাওয়ার পর এক গ্লাস কুসুম গরম মধু পানি পান করুন, দেখবেন হজমের সমস্যা দূর হয়ে গেছে।

৫। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
দারুচিনি এবং মধুর মিশ্রণ হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। এটি রক্তে কোলেস্টে্রলের মাত্রা ১০% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল চামচ মধু এবং এক চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।

৬। কোষ্টকাঠিন্য প্রতিরোধে
শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে কোষ্টকাঠিন্য দেখা দেয়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি সকালে খালি পেটে একবার এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার পান করুন। এটি আপনার কোষ্টকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।

৭। এনার্জি বৃদ্ধিতে
দুর্বলতা অনুভব করছেন? তাহলে তাৎক্ষনিক এক গ্লাস মধু পানি পান করুন। শরীরে চিনির মাত্রা কমে গেলে দুর্বলতা অনুভব হয়। মধু পানি শরীরে পানির পরিমাণ বজায় রেখে শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করে।

গরমে তৈলাক্ত ত্বক আরও তেলতেলে দেখায়, কী করবেন?



ত্বকের ধরন বুঝে ফেস মাস্ক বা এক্সফলিয়েটর ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্রণপ্রবণ ত্বকে জেলভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ভালো। দিনের বেলায় বাইরে যেতে হলে সূর্যরশ্মির প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। তবে গরমকালে তৈলাক্ত ত্বকে ক্রিমের বদলে সানস্ক্রিন লোশন বা পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে।   





             

               


                           

যে নিয়মগুলো অনুসরণ করলে সব সময় ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে

১. ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ দেখাতে হলে শীত–গ্রীষ্ম–বর্ষানির্বিশেষে পর্যাপ্ত পানি পান করবেন।

২. ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

৩. অতিরিক্ত শর্করা, লবণাক্ত খাবার এবং ফলমূলের কনসেনট্রেটেড জুস বর্জন করা উচিত।

৪. অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বেশি আছে, এমন শাকসবজি ও ফলমূল বেশি করে খেতে হবে।

৫. দৈনিক সাত-আট ঘণ্টা ভালো ঘুম দরকার।

৬. দিনের বেলায় কম সময় রোদে থাকা উচিত। রোদে বের হলে ছাতা, টুপি ও সানগ্লাস ব্যবহার করুন। ত্বকে ভালো মানের সানব্লক লাগাবেন।

৭. রাতে ঘুমানোর আগে আই কেয়ার ক্রিম ব্যবহার করুন। এতে চোখের নিচ বিবর্ণ হবে না।

৮. চেহারার জন্য ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ সিরাম এবং হায়ালুরনিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ কসমেটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।

৯. দুই–তিন ঘণ্টা পরপর পানি দিয়ে মুখমণ্ডল ধোয়া উচিত।

১০. সব ধরনের মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন।