আমরা প্রত্যেকেই চাই যেন ছবি তোলার সময় আমাদেরকে দেখতে ফ্ললেস লাগে! প্রতিটি ফটোশুটের আগে আউটফিট, জুয়েলারি ও মেকআপ কেমন হবে তা নিয়ে আমাদের জল্পনা কল্পনার শেষ থাকে না। বিশেষ করে মেকআপ নিয়ে আমাদের থাকে কত কত কনফিউশন! কয়েকটি সিম্পল স্টেপস ফলো করলে ঘরে বসেই ফটোশুটের জন্য পারফেক্ট লুক ক্রিয়েট করা পসিবল। আজকের ফিচারে আপনাদের জানাবো কীভাবে মেকআপ করলে ছবিতে ফেইসের বেস্ট ফিচারগুলো হাইলাইট করতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
ঘরোয়া টিপস
Saturday, September 9, 2023
ফটোশুটের জন্য পারফেক্ট মেকআপ লুক ক্রিয়েট করুন নিজেই!
রাতের রূপচর্চায় ৩টি অত্যাবশ্যকীয় কাজ
বিরূপ আবহাওয়া, অযত্ন-অবহেলার কারণে অনেকের নিখুঁত স্নিগ্ধ ত্বক হারিয়ে যায়। নিখুঁত সুন্দর ত্বক একধরণের স্বপ্নের মতোই মনে হয়। এ সমস্যাগুলো থেকে সহজেই ত্বকের যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
স্কিন এক্সপার্ট হুমায়রা জানান, ‘প্রতিরাতে যদি সামান্য একটু যত্ন নেয়া হয় তাহলে খুব সহজেই ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব। একটু সচেতনতাই ব্রণ, ত্বকের রুক্ষতা এবং অন্যান্য নানা সমস্যা দূরে রাখতে পারে।
তিনটি কাজের মাধ্যমে সম্ভব এই সমস্যাগুলি কিছুটা কমিয়ে নেয়া –
প্রথমত, রাতে বাসায় ফিরে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার করে নেবেন। কেননা ত্বকের নানা সমস্যার মূল কারণ হচ্ছে অপরিষ্কার ত্বক, তাই যত জলদি সম্ভব বাসায় ফিরেই ত্বক ভালমত পরিষ্কার করে নেয়া উচিৎ। ত্বক যত অপরিষ্কার থাকবে ততোই সমস্যা বাড়তে থাকবে। তাই প্রতি রাতে বাসায় ফিরে অবশ্যই ভালো করে ত্বক পরিষ্কার করে নেবেন।
ভাল ও আপনার ত্বকের সাথে মানানসই কোন ফেসওয়াস দিয়ে ত্বক ধুয়ে নিয়ে ত্বক স্ক্রাব করে উপরের ময়লা দূর করে নিন। এরপর একটি সাধারণ বা প্রাকৃতিক কোনো টোনার দিয়ে ত্বক আরও ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। কাঁচা দুধ খুব ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে। দুধ লাগিয়ে ৫ মিনিট রেখে ত্বক ধুয়ে ফেলুন।
আবার যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা লেবুর রস ও মধু ব্যবহার করতে পারেন আর যারা একটু উজ্জ্বলতা চান তারা হলুদ গুঁড়ো ও দুধ ব্যবহার করে প্যাক তৈরি করতে পারেন। মাত্র ২০ মিনিট ব্যবহার করেই ধুয়ে ফেললে ত্বকের যত্ন নেয়া শেষ।
তৃতীয়ত, সঠিক খাবার রাতের খাবারের কারণে অনেক সময় ত্বকের সমস্যা দেখা যায় বলে জানান হুমায়রা। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘রাতের ভারী খাবার হজম না হওয়ার কারণে অনেকেরই ব্রণ সমস্যা দেখা দেয়’। তাই রাতে হালকা খাবার খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। সেই সাথে পান করা উচিত অন্তত ২ গ্লাস পানি।
ওজন কমাতে কি শর্করা খাবার বাদ দেওয়া উচিত ?
ডায়েটের অর্থ কেবল খাদ্য নিয়ন্ত্রণ নয়, এর অর্থ হচ্ছে, খাদ্যাভ্যাস। একজন মানুষ সারা জীবন কতটা সুস্থ থাকবেন, তার অনেকটাই নির্ভর করে খাদ্যাভ্যাসের ওপর। আমাদের অসংক্রামক ব্যাধিগুলোর প্রায় ৭৫ শতাংশই খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে।
বেশির ভাগ মানুষই মনে করেন, ওজন কমাতে হলে ডায়েট করতে হবে। মোটেই তা নয়। সময়মতো পরিমিত সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়াই হচ্ছে ডায়েট। কেবল ওজন কমানো-বাড়ানো নয়, স্বাস্থ্যকর জীবনের অংশ হচ্ছে ডায়েট।
কোনো ব্যক্তির খাদ্যতালিকা তাঁর বয়স, ওজন, উচ্চতা, লিঙ্গ, পেশা, রক্তের কোলেস্টেরল লেভেল, কিডনির কার্যকারিতা, ফ্যাটসহ নানা বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন ১৫ বছরের এক শিশু আর ৫০ বছর বয়সী একজনের ডায়েট চার্ট নিশ্চয় এক হবে না। আবার একজন সুস্থ মানুষ যে খাবার খাবেন, একজন কিডনি বা হার্টের রোগী সেগুলো খাবেন না।
শর্করা কি বাদ দেওয়া উচিত
শর্করাকে বলা হয় শক্তি সরবরাহকারী খাদ্য উপাদান। আর আমিষ হচ্ছে শরীর গঠনকারী খাদ্য উপাদান। আমাদের সারা দিনে প্রয়োজনীয় শক্তির ৫০ থেকে ৬০ ভাগ আসে শর্করা থেকে। ফ্যাট থেকেও শক্তি পাওয়া যায়, তবে সেটা বেশ জটিল প্রক্রিয়া।
ফলে শরীরের বিভিন্ন কোষীয় চক্রে শক্তির উৎস হিসেবে শর্করাই বেশি ব্যবহার করে শরীর। মস্তিষ্কের জ্বালানি হিসেবেও শর্করা ব্যবহৃত হয়। তাই খাবার থেকে শর্করা বাদ দেওয়া যাবে না। ওজন কমাতে চাইলে শর্করার পরিমাণ ১০ থেকে ২০ শতাংশ কমানো যায়। সাধারণ শর্করার পরিবর্তে জটিল শর্করা খান। জটিল শর্করা ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে। লাল আটা, লাল চাল, ওটস, জবের চিড়া, শাক—এগুলো জটিল শর্করার ভালো উৎস। ওজন কমাতে হলে সাদা আটা, ময়দা, সাদা চাল, চিনি, কর্নফ্লেক্স, পাউরুটি, ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার, অতিরিক্ত তেল বা তৈলাক্ত খাবার বর্জন করতে হবে।
ডায়েটের নামে না খেয়ে থাকা যাবে না। চাহিদা অনুযায়ী খাবার না খেলে শরীর কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। কম খাবার খেলে ভিটামিন, মিনারেলের ঘাটতি তৈরি হতে পারে। তখন শক্তি উৎপাদনের জন্য কোষীয় চক্রগুলো ঠিকভাবে কাজ করবে না। এতে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে।
শর্করাহীন খাবার বা খাদ্য উপাদান বাদ দিলে যা হয়
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, দুর্বলতা, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হওয়া, রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়া, চুল পড়া, চুল পেকে যাওয়া, চর্মরোগের আধিক্য, স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, হাঁটু ও কোমরের হাড়ক্ষয়, রক্তে ও লিভারে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, মাথা ঘোরা, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, হজমশক্তি কমে যাওয়া, গ্যাস্ট্রিকের কারণে আলসার ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যেকোনো অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ওজন কমালে সেটা স্থায়ী হবে না। আবার স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসে ফিরলে ওজন আগের জায়গায় ফিরবে। ফলে ডায়েট করতে হলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ব্যালান্স ডায়েট করুন।
Thursday, September 7, 2023
ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন
দাগহীন সুস্থ, সুন্দর ও পরিষ্কার ত্বক কে না চায়। গ্রীষ্ম শেষে বর্ষার এই সময়ে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব অস্বস্তির কারণ হতে পারে। পাশাপাশি আমাদের জীবনযাপনের বিভিন্ন অসতর্কতা ও অন্যান্য কারণেও ত্বকে দাগ দেখা দেয়। রোদে পুড়ে বা অযত্নের কারণেও আমাদের মুখের সঙ্গে হাতে-পায়ের রঙের ভিন্নতা দেখা যায়। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য হারালেই এমনটা ঘটে। ত্বকের দাগ এবং এসব অযাচিত রং পরিবর্তন থেকে মুক্তি পেতে আছে কিছু ঘরোয়া সমাধান। ঘরে থাকা হাতের কাছের বিভিন্ন উপাদান দিয়ে সহজেই ত্বকের এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। লকডাউনের এই ঘরবন্দী সময়ে ত্বকের দাগ দূর করতে এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে সুফল পাওয়া যাবে সহজেই।
হলুদগুঁড়া
অ্যালোভেরা জেলি
লেবুর রস
ডিম-অলিভ অয়েল ও লেবু
অজ্ঞান হলে লক্ষণসমূহ ও প্রাথমিক চিকিৎসা
মাথায় প্রয়োজনীয় রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে রক্ত চাপ কমে রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ভয়াবহ দৃশ্য চোখে বা অন্য কোনভাবে ভয় পেয়ে অথবা দুঃসংবাদ শুনে হঠাৎ করে রক্ত চাপ কমে যায়, অসুস্থতাজনিত দুর্বলতার কারণেও এমন হতে পারে। অত্যাধিক ব্যাথা, স্নায়বিক আঘাত, তাপ বা গরম ইত্যাদি কারণেও অজ্ঞান হতে পারে।
লক্ষণসমূহঃ
* মুখ মন্ডল ফ্যাকাশে হয়ে যায়;
* নাড়ি দুর্বল ও মন্থর হতে পারে;
* শ্বাস-প্রশ্বাস ধীর গতিতে চলতে পারে;
প্রাথমিক চিকিৎসাঃ
* রোগীকে ছায়াতে ও মুক্ত বাতাসে রাখতে হবে। যাতে পর্যাপ্ত মুক্ত বাতাস রোগীর গায়ে লাগে তার ব্যবস্থা করতে হবে;
* রোগীর কাপড়ের সকল বাঁধন ঢিলা করে দিতে হবে; * রোগীকে ঠান্ডা লাগলে চাদর দিয়ে ঢেকে দিতে হবে;
* অত্যাধিক গরমে জ্ঞান হারালে, রোগীকে বাতাস করতে হবে, মাথায় পানি ঢালা যেতে পারে, শরীর ঠান্ডা ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে;
* কোন অবস্থাতেই অজ্ঞান রোগীর মুখে কোন তরল অর্থাৎ পানীয় জাতীয় কিছু দেয়া যাবে না;
* রোগীর পাশে হাঁটু গেঁড়ে বসুন। কপালে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে মাথাটি কাত করে দিন। তার মুখটি হাঁ করে আঙ্গুল দিয়ে মুখের ভিতরে লালা পরিষ্কার করে নিয়ে আসুন;
* যদি সে শ্বাস নিতে না পারে, তবে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করুন;
* লক্ষ্য করুন নিঃশ্বাসের সঙ্গে তার বৃক উঠানামা করছে কিনা;
* যদি রোগী শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে, তবে ১০ মিনিট তার শ্বাস-প্রশ্বাস লক্ষ্য করুন এবং তার হার্টবিট বোঝার চেষ্টা করুন;
* এরপর তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিকটস্থ ডাক্তারের কাছে অথবা হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করুন;
* জ্ঞান আসার পর যখন রোগী সুস্থবোধ করবে তখন তাকে খাবার দিতে হবে ও পানি পান করাতে হবে।