Saturday, September 9, 2023

ফটোশুটের জন্য পারফেক্ট মেকআপ লুক ক্রিয়েট করুন নিজেই!



 আমরা প্রত্যেকেই চাই যেন ছবি তোলার সময় আমাদেরকে দেখতে ফ্ললেস লাগে! প্রতিটি ফটোশুটের আগে আউটফিট, জুয়েলারি ও মেকআপ কেমন হবে তা নিয়ে আমাদের জল্পনা কল্পনার শেষ থাকে না। বিশেষ করে মেকআপ নিয়ে আমাদের থাকে কত কত কনফিউশন! কয়েকটি সিম্পল স্টেপস ফলো করলে ঘরে বসেই ফটোশুটের জন্য পারফেক্ট লুক ক্রিয়েট করা পসিবল। আজকের ফিচারে আপনাদের জানাবো কীভাবে মেকআপ করলে ছবিতে ফেইসের বেস্ট ফিচারগুলো হাইলাইট করতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

প্ল্যান করে নিন আগেই

যেকোনো ফটোশুটের আগেই প্ল্যান করে নিন মেকআপ লুক কেমন হবে, আউটফিট কী ধরনের হবে, হেয়ার স্টাইল কেমন হবে। শুট কি ডে টাইমে হবে নাকি কোনো স্টুডিও সেটআপে, সেটাও জানতে হবে। অনেকেই মনে করেন, ফটোশুটের জন্য যত হেভি মেকআপ করা হবে, ছবিতে দেখতে ততই ফ্ললেস লাগবে। সত্যি বলতে ব্রাইডাল ফটোশুটের ক্ষেত্রে হেভি মেকআপ অ্যাপ্রোপ্রিয়েট হলেও যদি অন্য কোনো কারণে ফটোশুট করতে হয়, সেক্ষেত্রে ন্যাচারাল মেকআপই বেশি মানানসই। কারণ ন্যাচারাল মেকআপ যেকোনো আউটফিট ও জুয়েলারির সাথেই মানিয়ে যায়। তাছাড়া অনেক সময় হেভি মেকআপ করা হলে তা কেকি হয়ে যায়, যা দেখতে খুবই আনন্যাচারাল লাগে। ছবিতেও বেশ ভালোভাবে তা বোঝা যায়।

দিনের বেলায় যদি কোনো ফটোশুট থাকে, সেক্ষেত্রে ট্রাই করবেন মেকআপ লুক যেন একদম ন্যাচারাল থাকে। এবার আপনাদের একটি ছোট্ট টিপস দেই। সেটা হলো, ন্যাচারাল লাইটে মেকআপ করার ট্রাই করুন৷ এতে মেকআপ প্রোডাক্টস অ্যাপ্লাইয়ের সময় হেভি হ্যান্ডেড হয়ে যাওয়ার চান্স থাকবে না। এর পাশাপাশি ফলো করতে পারেন নিচের এই মেকআপ টিপসগুলো।

ফটোশুটের জন্য পারফেক্ট মেকআপ লুক

১) পোরস মিনিমাইজিং প্রাইমার ইউজ করুন

মেকআপ করার সময় প্রাইমার তো সবাই ইউজ করেন। মার্কেটে বিভিন্ন রকম প্রাইমার অ্যাভেইলেবল থাকলেও ছবিতে নিজের স্কিন টেক্সচার স্মুথ দেখাতে পোরস মিনিমাইজিং প্রাইমারের বিকল্প নেই। তাই নিজের পছন্দের যেকোনো ব্র্যান্ডের পোরস মিনিমাইজিং প্রাইমার বেছে নিন।


২) কালার কারেক্টিং কনসিলার ইউজ করুন

কালার কারেক্টিং কনসিলার আমাদের স্কিনের হাইপারপিগমেন্টেশন ও স্পট একদম ম্যাজিকের মতো হাইড করে দেয়, যা শুধুমাত্র ফাউন্ডেশন পুরোপুরি কভার করতে পারে না। অনেকেই রয়েছেন যারা ফটোশুটের জন্য মেকআপ করার সময় কালার কারেকশনের এই ইম্পরট্যান্ট স্টেপটি স্কিপ করেন। এতে দেখা যায়, ছবিতে চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল অথবা ফেইসের একনে স্পট একদম ভিজিবল হয়ে ওঠে! একারণে অবশ্যই ফেইসের যেকোনো ডিসকালারেশন হাইড করতে অরেঞ্জ এবং একনে স্পট কভার করতে গ্রিন কালার কারেক্টিং কনসিলার ইউজ করুন।


৩) ম্যাট ফিনিশের ফাউন্ডেশন বেছে নিন

ডিউয়ি ফর্মুলার ফাউন্ডেশন অনেকেরই পছন্দ৷ তবে ফটোশুটের ক্ষেত্রে ডিউয়ি বা গ্লোয়ি ফিনিশ দেয় এমন ফাউন্ডেশনগুলো অ্যাভোয়েড করাই বেটার। কারণ অনেক সময় এই ফাউন্ডেশন ইউজ করার কারণে ফেইসে এক্সট্রা শাইন বা গ্লো দেখা যায়, যা ছবিতে ভালো না-ও দেখাতে পারে। তাই ফটোশুট থাকলে ম্যাট কভারেজের ফাউন্ডেশন ইউজ করুন, বিশেষ করে ডে টাইমে। আর ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড করার ক্ষেত্রে ড্যাম্প বিউটি স্পঞ্জ ইউজ করুন, এতে ইজিলি ফাউন্ডেশন স্কিনে ব্লেন্ড হয়ে যাবে। কনট্যুরিং করার সময় খেয়াল রাখবেন যেন হার্শ লাইন না থাকে। যত পারফেক্টলি আপনি ব্লেন্ড করবেন, লুক ততটাই পারফেক্ট হবে।

৪) ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ইউজ করুন

অনেকেই ফাউন্ডেশন বা কনসিলার সেট করার জন্য নিজেদের স্কিন শেইডের কমপ্যাক্ট পাউডার ইউজ করেন। তবে যদি ফটোশুট থাকে, সেক্ষেত্রে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ইউজ করাই বেটার অপশন৷ কারণ এই পাউডারের টেক্সচার খুবই লাইট ওয়েট হওয়ায় আপনার ফেইস কেকি হবে না, আবার সেই সাথে স্কিনের অয়েল কন্ট্রোলও হবে।

৫) ডে টাইমে নিউট্রাল টোনের আইশ্যাডো অ্যাপ্লাই করুন

চোখ সাজাতে কম বেশি সবাই ভালোবাসেন। আইব্রো বেশি ডার্ক করলে ওভারঅল লুক আনন্যাচারাল দেখায়, তাই এদিকে লক্ষ্য রাখুন। আপনাদের সবার কালেকশনে নিশ্চয়ই নিউট্রাল কালারের আইশ্যাডো রয়েছে। যদি ডে টাইমে কোনো শুট হয়, তাহলে শিমার বা গ্লিটার শ্যাডো ইউজ না করে নিউট্রাল টোনের ম্যাট আইশ্যাডো অ্যাপ্লাই করুন। আউটফিটের উপর ডিপেন্ড করবে আপনার আইলুক কেমন হবে। যদি শাড়ি পরে ফটোশুট হয়, তাহলে কালারফুল আইলুক ক্রিয়েট করতে পারেন। চোখের লোয়ার ল্যাশ লাইনে ন্যুড কাজল ব্যবহার করতে পারেন, এতে আপনার আই শেইপ আরো বড় ও ডিফাইনড দেখাবে।

৬) আইলাইনার ও মাশকারা অ্যাপ্লিকেশনে কেয়ারফুল থাকুন

আইলাইনার ও মাশকারা ছাড়া আমাদের আই মেকআপ একদমই ইনকমপ্লিট থেকে যায়। যদি আপনার আই শেইপ ছোট বা হুডেড হয়, তাহলে মোটা করে আইলাইনার অ্যাপ্লাই না করা বেটার। যদি ল্যাশলাইন ঘেঁষে একদম চিকন করে আইলাইনার অ্যাপ্লাই করেন বা উইংড লাইনার ড্র করেন, তাহলে ছবিতে দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে।

No comments:

Post a Comment